ইংরেজরা বারাসাতে কী করে এল এবং ২৪ পরগনা উৎপত্তি ও বারাসাত
১৮৫৭ সালের ২০শে ডিসেম্বর, মীরজাফর ৮৮২ বর্গমাইল জুড়ে অবস্থিত আজিমাবাদ, আকবর, আমীরপুর, ইখতিয়ারপুর, কলকাতা, খাসপুর, খড়িকুড়ি, মেলারমদল, মুনরাগাছা, মেদিনীমল্ল, মানপুর, মাগুরা, ময়দা, বালিয়া, বারিদাহাটি, হাতিয়াগড়, দক্ষিণ সাগর, পৈথান, পাঁকলি, শাহপুর, শাহনগর, মানপুর ও বাসুন্দীগড় নামে চব্বিশটি মহল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে যৌতুক দেন। ১৭৫৯ খ্রিঃ এই মহলগুলি একত্রে ২৪ পরগনা নামে নথিভুক্ত হয়। আবার ১৮৩৪ খ্রিঃ ২৪-এর সাথে আরও ১৩টি পরগনা যুক্ত করে মােট দুটি জেলা করা হয়েছিল।
২১টি পরগনা নিয়ে বারাসাত জেলা এবং ১৬টি পরগনা নিয়ে আলিপুর জেলা। ১৮৬১ খ্রিঃ পর্যন্ত এই ব্যবস্থা ছিল। সাতক্ষীরাকে মহকুমা করে ২৪ পরগণায় ৮টি মহকুমা করা হয়। ১৮৮২ খ্রিঃ খুলনাকে জেলা করে সাতক্ষীরা খুলনাকে দেওয়া হয়। (১৯৮৬ খ্রিঃ ১লা মার্চ ২৪ পরগনা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে বারাসাত উত্তর ২৪ পরগনার সদর হয় মাত্র ৪টি মহকুমা নিয়ে)।
খােলামেলা স্বাস্থকর পরিবেশ, শিকার করার সুবিধা, নীলচাষের পরিবেশ ইংরেজ রাজপুরুষদের বারাসাতে টেনে এনেছিল। বঙ্গিয় সাহিত্য সম্মেলনে ৭ম সভায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ভাষণে (সম্পাদনা সুনীতি কুমার চ্যাটার্জী, পৃঃ – ২১৭-২১৮) বললেন শাস্ত্রীমশাই, মীরজাফর ক্লাইভকে ২৪টি পরগনা দেননি। দিয়েছিলেন মানসিংহ তার একজন কাছের মানুষকে যে প্রতাপাদিত্য রায়কে বন্দী করতে সাহায্য করে।
Download full map
Source: বই: ইতিহাসের বারাসাত | লেখক: শম্ভুনাথ ঘোষ | প্রকাশক: বারাসাত সংস্কৃতি পরিষদ | সভাপতি: বিশ্বনাথ ঘোষ
# ধন্যবাদ অয়ন মজুমদার (অয়ন দা) কে, এই বইটি দেওয়ার জন্য।

ইতিহাস
বৃহত্তর ২৪ পরগণার অঞ্চলটি মুঘল আমলে সাতগাঁও (প্রাচীন সপ্তগ্রাম, এখন হুগলি জেলায়) প্রশাসনের অধীনে ছিল এবং পরবর্তীতে মুর্শিদকুলী খানের শাসনামলে এটি হুগলি চাকলা (মুঘল নবাবী-পরবর্তী শাসনাধীন জেলা) অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৭৫৭ সালে, পলাশীর যুদ্ধের পর, নবাব মীর জাফর 24টি পরগনা এবং জঙ্গলিমহলের (ছোট প্রশাসনিক ইউনিট) জমিদারি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে প্রদান করেন। এগুলো হলো আমিরপুর, আকবরপুর, বালিয়া, বিরাটী, আজিমাবাদ, বসন্ধরী, বারিধাটি, বাগজোলা, কালিকাটা, গড়, হাতিয়াগড়, ইসলামপুর, দক্ষিণ সাগর, খারিজুরি, খাসপুর, ইখতিয়ারপুর, মধ্যমগ্রাম, মাগুরা, মেদনমল্লা, ময়দা, মনপুর, মুরাগাছা, পেঁয়াছ, পেঁচা। , রাজারহাট, শাহপুর, শাহনগর, সাতাল ও উত্তর পরগনা। সেই থেকে, এই সমগ্র অঞ্চলটি চব্বিশ পরগনা নামে পরিচিত।
১৯৮৩ সালে, ডঃ অশোক মিত্রের সভাপতিত্বে একটি প্রশাসনিক সংস্কার কমিটি জেলাটিকে দুটি ভাগ করার পরামর্শ দেয় এবং কমিটির সুপারিশ অনুসারে দুটি জেলা – উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৈরি করা হয়। উত্তর ২৪ পরগণা যা প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিল বৃহত্তর ২৪ পরগণার ৫ টি উপ-বিভাগ যেমন বারাসাত (সদর দফতর), ব্যারাকপুর, বসিরহাট, বনগাঁ এবং বিধাননগর (কলকাতার একটি উপগ্রহ শহর, যা সল্টলেক নামে পরিচিত) নিয়ে গঠিত হয়েছে।
Source: https://north24parganas.gov.in/