Blog

বারাসাতে নীলচাষ ও নীলকরের অত্যাচার

খােদ বারাসাতে নটি (৯টি) নীল কারখানা খােলা হয়েছিল। জোয়ান প্রিন্সেপ ১৭৭৯ খ্রিঃ যে কারখানা করেন, তার বর্তমান স্থানের নাম নীলগঞ্জ। দ্বিতীয় কারখানা হল বর্তমান নবপল্পীর কলপুকুরে। তৃতীয়টি মধুমুরলী পুকুরপাড়ে। ছােট কারখানা যা বর্তমান সুধা প্রিন্টের পিছনের পুকুর পাড়ে। তখন নীলগঞ্জের নাম ছিল তরফ চৌরাশি। সংলগ্ন ৮৪টি গ্রামে এবং অন্যত্র নীলচাষ বাধ্যতামূলক ছিল।

অত্যাচার করে অত্যাচারী নাম কিনলেন জীবনপুর, নর্সিমপুর, চাঁদপুর, কোলসুর, চৌরিপাতা, ঢাকলা, ঘােলদড়িয়া অঞ্চলের নীলকর বানু সাহেব এবং সাতক্ষীরা খুলনা অঞ্চলের রেনি সাহেব। ১৮৫৮ খ্রিঃ চৌবেড়ের দীনবন্ধু মিত্রের নীল দর্পণ নাটক প্রকাশের পর নীল বিদ্রোহ শুরু হয়। এইসব বিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮৫৯ খ্রিঃ বারাসাতের ম্যাজিস্ট্রেট অ্যাসলি ইডেন বাধ্যতামূলক নীলচাষ বন্ধের হুকুম জারি করেন।

Source:
বই: ইতিহাসের বারাসাত
লেখক: শম্ভুনাথ ঘোষ
প্রকাশক: বারাসাত সংস্কৃতি পরিষদ
সভাপতি: বিশ্বনাথ ঘোষ

# ধন্যবাদ অয়ন মজুমদার (অয়ন দা) কে, এই বইটি দেওয়ার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *