প্রাচীন বারাসাতের উদ্ভিদ উদ্যান ও কৃষি গবেষণা
প্রাচীন বারাসাতের উদ্ভিদ উদ্যান ও কৃষি গবেষণা

প্রাচীন বারাসাতের উদ্ভিদ উদ্যান ও কৃষি গবেষণা

অনেকেই হয়তো চোখ কপালে তুলবেন যদি দুম করে বলে ফেলি প্রাচীন বারাসাতে একটা উদ্ভিদ উদ্যান ও কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ছিল। ১৮৪০ খৃঃ প্যারীচরণ সকাল এলেন বারাসাতে। বর্তমান সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান হয়ে। এই স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ছিলেন বৃক্ষ-প্রেমিক। তিনি বারাসাতে একটি কৃষিবিদ্যালয় এবং উদ্যান স্থাপন করেন। সাথে যােগদেন ডাঃ নবীন কৃষ্ণ মিত্র। কৃষিক্ষেত্র ছাড়া বিদ্যালয় সংলগ্ন বাগানে তারা দুষ্প্রাপ্য গাছপালা এনে যত্নে পুঁততেন। ছাত্রের মত গাছকেও যত্ন করতেন। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সব চাইতে পুরাতন চেরী গাছটি প্যারীচরণ সরকার পুতেছিলেন। মুক্ত প্রকৃতির স্বাদ দেবার মানলে প্রথমে বিদ্যালয় ভবন ঘিরে বড়সড় বাগান গড়ে তোলেন।

প্রাচীন বারাসাতের উদ্ভিদ উদ্যান ও কৃষি গবেষণা
প্রাচীন বারাসাতের উদ্ভিদ উদ্যান ও কৃষি গবেষণা

তখন বারাসাত সরকারি বিদ্যালয় সংলগ্ন মনােরম উদ্যান নন্দনকানন নামে পরিচিত ছিল। বর্তমান ছায়াবাণী সিনেমার পেছনে গড়ে উঠেছে নয়নকানন। উদ্যানই, তবে বৃক্ষের নয়স কংক্রিটের। তা মহাত্মা কালীকৃষ্ণের অগ্রজ নবীনকৃষ্ণ নন্দনকানন সম্প্রসারিত করতে থাকলেন। বাগানের চৌহদ্দী দাড়িয়েছিল শেঠপুকুর থেকে বর্তমান ভাটরাপল্লি। আর হৃদয়পুর থেকে পাইওনিয়ার কলােনি (বর্তমানের) ধরে বারাসাত জংশন স্টেশনের জলের ট্যাঙ্ক পৰ্য্যন্ত। দামীদামী কাঠের গাছ শাল, সেগুন, শিশু, মেহগনী, নানা ফুল, বহু প্রকার গুল্ম, অজস্র ধরণের পরগাছা, নানা সুস্বাদু ফলের গাছ সৃষ্টি হল সেই নন্দনকাননে। মাঝে মধ্যে পুকুর খােড়া হল। প্যারীচরণ সরকার ১৮৭৫-এ মৃত্যুর পূর্বে বহুবার এসেছেন। এসেছেন বিদ্যাসাগর আর অন্যান্যরা। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই সুবিশাল নন্দনকানন তথা প্রাচীন বারাসতের উদ্ভিদ উদ্যানের কোন অস্তিত্বই নেই। এমনকি উদ্যানের দক্ষিনাংশে মিত্রবাড়ির সঠিক হদিশও নেই।

Source:
বই: ইতিহাসের বারাসাত
লেখক: শম্ভুনাথ ঘোষ
প্রকাশক: বারাসাত সংস্কৃতি পরিষদ
সভাপতি: বিশ্বনাথ ঘোষ

# ধন্যবাদ অয়ন মজুমদার (অয়ন দা) কে, এই বইটি দেওয়ার জন্য।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *